নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকায় জুয়া খেলতে বাধা দেয়ায় গৃহবধুকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। হত্যার পর বাড়ির অদূরে একটি ইটভাটার পাশে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১১টার দিকে পরিত্যক্ত ইট ভাটার পাশের জমি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আছিয়া (২৮) মাধবদীর বালুসাইর গ্রামের ফজর আলী স্ত্রী। সে মাধবদী একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহত আসিয়া প্রতিদিনের মতো কারখানার কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে নিহতের স্বামী জোহর আলীর সাথে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে আছিয়াকে মারপিট শুরু করেন। পরে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। এতে তার মাথার মস্তক বেড়িয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এসময় তার সন্তানরা তাকে বাধা দিতে এলে তাদেরকেউ পিটাতে রক্তাক্ত করে তাদের বাবা। পরে গভীর রাতে নিহতের মরদেহ পরিত্যক্ত সানি ইট ভাটার পাশের জমিতে ফেলে দেয়। সকাল ১০টার দিকে ইট ভাটার পাশে এক মহিলার মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পাষন্ড স্বামী পালিয়ে যায়।
তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। নিহতরে ছেলে রাজিব বলেন, রাতে মা বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় রড দিয়ে মাকে পিটিয়ে মারে। মাধবদী থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, নিহতের স্বামী কাজকর্ম করতো না। সারাদিন জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতো। এনিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জেরে ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। বাকি বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Discussion about this post